রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ০৬:১৫ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
দুই দিনের সফরে আজ বরিশাল আসছেন অতিথি গ্রুপ অব কোম্পানির এমডি লায়ন সাইফুল ইসলাম সোহেল  পিরোজপুর ভান্ডারিয়ার যুব মহিলা লীগ নেত্রী জুথি গ্রেফতার গৌরনদীতে তিন দফা দাবি আদায়ে ছাত্রদলের বিক্ষোভ মিছিল উপজেলা প্রশাসনকে ১৫ দিনের আল্টিমেটাম গ্রেনেড হামলার মামলা থেকে তারেক রহমানসহ বিএনপি নেতারা খালাস পাওয়ায় গৌরনদীতে আনন্দ মিছিল বরিশালের বাকেরগঞ্জসহ চারটি থানা এবং উপজেলায় নাগরিক কমিটি গঠন   আওয়ামী লীগ ও শেখ হাসিনা বিহীন বাংলাদেশ শান্তিতে থাকবে, এটা অনেকেরই ভালো লাগেনা-এম. জহির উদ্দিন স্বপন তারেক রহমানের বিজ্ঞ নেতৃত্বের কারণে শেখ হাসিনাকে পালিয়ে যেতে বাধ্য করেছি-এম. জহির উদ্দিন স্বপন গৌরনদীতে দৈনিক যুগান্তরের বিরুদ্ধে বিড়ি শ্রমিক ও ব্যবসায়ীদের প্রতিবাদ ও বিক্ষোভ মিছিল দুষ্টামিটাও ছিল যেমন স্পর্শকাতর, খেসারাতটাও দিতে হল তেমনি ভয়ঙ্কর বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী সাংস্কৃতিক দলের ৫ সদস্যের বরিশাল মহানগরে আহ্বায়ক কমিটি গঠন
সব সময় সেনা অভ্যুত্থানের ছুরির মুখেই ছিল মিয়ানমার

সব সময় সেনা অভ্যুত্থানের ছুরির মুখেই ছিল মিয়ানমার

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর থেকেই অং সান সু চি’র অবস্থান ছিল অনিশ্চয়তার সুতায় ঝোলা। অর্ধ শতাব্দির সেনাশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যতই উদ্দীপনা দেখা যাক না কেন, বাস্তবে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা খুব কমই কমেছে। তার পরেও সেনা অভ্যুত্থানের হুমকি সব সময় ছিল। সেনাবাহিনী ২০০৮ সালে যে সংবিধান রচনা করেছে, গত পাঁচ বছর তার ভিত্তিতে মিয়ানমার শাসন করেছেন অং সান সু চি। সেই সংবিধান সামরিক বাহিনীল ক্ষমতাই রক্ষা করেছে, পার্লামেন্টে তাদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে, তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এই সংবিধানই অং সান সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ রুদ্ধ করেছে। সেখানে তাকেই লক্ষ্য করে একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে- যাদের বিদেশী আত্মীয় রয়েছে তারা প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সুচির সন্তানদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে, ফলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। শেষে তাকে পদ দেওয়া হয় স্টেটে কাউন্সেলর বা রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা। এটি এমনই এক পদ যা তাকে সব সময় মনে করিয়ে দেয় যে প্রকৃতপক্ষে তিনি ক্ষমতায় নেই! যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে এসব মন্তব্য করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সু চি কখনও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করেননি। মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠনগুলোর বহু আবেদন নিবেদনেও কান দেননি সুচি। এটা ছিল অনেকটা বিশ্বাসঘাতকতার মতো। অথচ তিনি ২০১১ সালে অঙ্গীকার করেছিলেন সামরিক বাহিনীর করা ২০০৮ সালের সংবিধানের ভিত্তিতে তিনি কখনও মিয়ানমার শাসন করবেন না। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি সূ চি। সেনাবাহিনীর মনোনীত সংসদীয় আসনের ২৫% আসনটির অর্থ দাঁড়ায় যে অং সান সু চির সরকারের সংবিধান সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ৫ শতাংশ ভোট কখনই থাকতে পারে না। অং সান সু চির শাসনামল এবং সামরিক বাহিনীর শাসনামলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য পাওয়া যায়নি। সু চি’র শাসনামলে, বাকস্বাধীনতা তেমন ছিল না। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। সামরিক বাহিনীর শাসনামলেও তেমনটা ছিল। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইং সবসময়ই দেশটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতেন। এমননি সু চি’র সরকারও তাকে সেভাবে গ্রহণ করতো। আগামী জুলাইয়ে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই হল এই অভ্যুত্থান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com