সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ০১:৩৯ পূর্বাহ্ন

উপ-সম্পাদক :: দিদার সরদার
প্রধান সম্পাদক :: সমীর কুমার চাকলাদার
প্রকাশক ও সম্পাদক :: কাজী মোঃ জাহাঙ্গীর
যুগ্ম সম্পাদক :: মাসুদ রানা
সহ-সম্পাদক :: এস.এম জুলফিকার
প্রধান নির্বাহী সম্পাদক :: মামুন তালুকদার
নির্বাহী সম্পাদক :: সাইফুল ইসলাম
ব্যবস্থাপনা সম্পাদক :: আবুল কালাম আজাদ
সংবাদ শিরোনাম :
ফুলকুঁড়ি আসর এর ফাইনাল ক্রিকেট টুর্নামেন্টের অনুষ্ঠিত আওয়ামী ঘরানার বিতর্কিত লোকদের দিয়ে উজিরপুর উপজেলা শ্রমিক দলের কমিটি গঠন করার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন সান্টু খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি ও তারেক রহমানের সুস্থতা কামনায় গৌরনদীতে দোয়া ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত গৌরনদীতে এতিমখানা ও মাদ্রাসার দরিদ্র, অসহায় শিক্ষার্থীদের মাঝে ঈদ বস্ত্র বিতরণ ও ইফতার মাহফিল অনুষ্ঠিত বরিশালে বিএনপি ও অঙ্গ সংগঠনের কারাবন্ধী ও রাজপথে সাহসী সৈনিকদের সম্মানে ইফতার দোয়া মোনাজাত অনুষ্ঠিত আদালতে মামলা চলমান থাকা অবস্থায়, দখিনের খবর পত্রিকা অফিসের তালা ভেঙে কোটি টাকার লুণ্ঠিত মালামাল বাড়িওয়ালার পাঁচ তলা থেকে উদ্ধার, মামলা নিতে পুলিশের রহস্যজনক ভূমিকা গলাচিপা উপজেলা প্রেসক্লাবের কমিটি গঠন, সভাপতি হাফিজ, সম্পাদক রুবেল চোখের জলে বরিশাল প্রেসক্লাব সভাপতি কাজী বাবুলকে চির বিদায় বিএনপি নেতা জহির উদ্দিন স্বপন কারামুক্ত উচ্চ আদালতে জামিন পেলেন বরিশাল মহানগর বিএনপির মীর জাহিদসহ পাঁচ নেতা
সব সময় সেনা অভ্যুত্থানের ছুরির মুখেই ছিল মিয়ানমার

সব সময় সেনা অভ্যুত্থানের ছুরির মুখেই ছিল মিয়ানমার

দখিনের খবর ডেস্ক ॥ ২০১৫ সালের নির্বাচনের পর থেকেই অং সান সু চি’র অবস্থান ছিল অনিশ্চয়তার সুতায় ঝোলা। অর্ধ শতাব্দির সেনাশাসন থেকে গণতন্ত্রে উত্তরণ নিয়ে বিশ্বব্যাপী যতই উদ্দীপনা দেখা যাক না কেন, বাস্তবে সেনাবাহিনীর ক্ষমতা খুব কমই কমেছে। তার পরেও সেনা অভ্যুত্থানের হুমকি সব সময় ছিল। সেনাবাহিনী ২০০৮ সালে যে সংবিধান রচনা করেছে, গত পাঁচ বছর তার ভিত্তিতে মিয়ানমার শাসন করেছেন অং সান সু চি। সেই সংবিধান সামরিক বাহিনীল ক্ষমতাই রক্ষা করেছে, পার্লামেন্টে তাদের জন্য ২৫ শতাংশ আসন সংরক্ষিত রাখা হয়েছে, তাদের স্বার্থরক্ষার জন্য গণতান্ত্রিকভাবে নির্বাচিত নেতাদের গুরুত্বপূর্ণ কিছু ক্ষমতা খর্ব করা হয়েছে। এই সংবিধানই অং সান সুচির প্রেসিডেন্ট হওয়ার পথ রুদ্ধ করেছে। সেখানে তাকেই লক্ষ্য করে একটি অনুচ্ছেদ যুক্ত করা হয়েছে- যাদের বিদেশী আত্মীয় রয়েছে তারা প্রেসিডেন্ট হতে পারবেন না। সুচির সন্তানদের ব্রিটিশ নাগরিকত্ব রয়েছে, ফলে তিনি প্রেসিডেন্ট হতে পারেননি। শেষে তাকে পদ দেওয়া হয় স্টেটে কাউন্সেলর বা রাষ্ট্রীয় উপদেষ্টা। এটি এমনই এক পদ যা তাকে সব সময় মনে করিয়ে দেয় যে প্রকৃতপক্ষে তিনি ক্ষমতায় নেই! যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত পত্রিকা দ্য গার্ডিয়ানের এক বিশ্লেষণে এসব মন্তব্য করা হয়েছে। এতে আরও বলা হয়, ব্যাপক জনপ্রিয়তা থাকা সত্ত্বেও সু চি কখনও সামরিক বাহিনীর ক্ষমতা খর্ব করার চেষ্টা করেননি। মানবাধিকারকর্মী ও সংগঠনগুলোর বহু আবেদন নিবেদনেও কান দেননি সুচি। এটা ছিল অনেকটা বিশ্বাসঘাতকতার মতো। অথচ তিনি ২০১১ সালে অঙ্গীকার করেছিলেন সামরিক বাহিনীর করা ২০০৮ সালের সংবিধানের ভিত্তিতে তিনি কখনও মিয়ানমার শাসন করবেন না। সেনাবাহিনীর সহযোগিতা ছাড়া কোনো নির্বাচনে জিততে পারেননি সূ চি। সেনাবাহিনীর মনোনীত সংসদীয় আসনের ২৫% আসনটির অর্থ দাঁড়ায় যে অং সান সু চির সরকারের সংবিধান সংশোধন করার জন্য প্রয়োজনীয় ৫ শতাংশ ভোট কখনই থাকতে পারে না। অং সান সু চির শাসনামল এবং সামরিক বাহিনীর শাসনামলের মধ্যে খুব বেশি পার্থক্য পাওয়া যায়নি। সু চি’র শাসনামলে, বাকস্বাধীনতা তেমন ছিল না। সরকারের বিরুদ্ধে কেউ গেলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো। সামরিক বাহিনীর শাসনামলেও তেমনটা ছিল। দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর কমান্ডার-ইন-চিফ এবং সেনাপ্রধান মিন অং লাইং সবসময়ই দেশটির সিদ্ধান্ত নেওয়ার ক্ষেত্রে গুরুত্ব পেতেন। এমননি সু চি’র সরকারও তাকে সেভাবে গ্রহণ করতো। আগামী জুলাইয়ে তার মেয়াদ শেষ হওয়ার কথা ছিল। তার আগেই হল এই অভ্যুত্থান।

দয়া করে নিউজটি শেয়ার করুন..



Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *




© All rights reserved © 2017 Dokhinerkhobor.Com
Desing & Developed BY ThemesBazar.Com